সত্যজিৎ রায় পরিচালিত: আগন্তুক
১৪ জুলাই রাত ১:৩০, জি বাংলা সিনেমা
‘আগন্তুক’ সত্যজিৎ রায় পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। সত্যজিৎ রায় তাঁর নিজের ছোটগল্প অতিথি অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মান করেন ১৯৯১ সালে। তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে সিনেমাটির শুটিং পরিচালনা করেন। এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায় প্রয়াত হন। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন উৎপর দত্ত, মমতা শঙ্কর, দীপঙ্কর দে প্রমূখ।
সিনেমার শুরুতে দেখা যায় অনিলা বোস নামের এক গৃহিনী তাঁর মামা মনমোহন মিত্রের কাছ থেকে একটি চিঠি পায়। অনিলার ছোটমামা মনমোহন অনেক আগে অনিলারা যখন ছোট তখন নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। তিনি চিঠিতে জানান যে বহু বছর বিদেশে কাটিয়ে তিনি এখন দেশে ফিরছেন। এদিকে অনিলার স্বামী সুধীন্দ্র বিষয়টিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। তারা নিশ্চিত হতে পারে না এই লোক সত্যিই অনিলার মামা নাকি কোন দুষ্ট লোক। তাছাড়া অনিলার মামা হলেও তিনি কেন এখন দেশে আসছেন? সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে নয় তো? এসব প্রশ্ন তাদেরকে তাড়া করে ফিরে। এদিকে মনমোহন দেশে এসে পৌঁছালে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তিনি গল্পে আড্ডায় পুরো পরিবারটাকে অবিভূত করে রাখেন। তিনি তাঁর অতিতের নানান মজার অভিজ্ঞতার কথা বলেন, আর সেই সাথে সবার সামনে নিয়ে আসেন তাঁর জীবন দর্শন। তিনি জানান কিভাবে গুহার দেয়ালে প্রাচীন মানুষের আঁকা একটি বাইসনের ছবি তাকে ঘর ছেড়ে যেতে অনুপ্রাণীত করেছিল। পৃথিবীর নানান দেশে ঘুরে ঘুরে কিভাবে তিনি জীবনের অর্থ খোঁজার চেষ্টা করেছেন সে কথা তিনি পরিবারের লোকদের বলেন। এদিকে অনিলা এবং তার পরিবার মনমোহনের সঙ্গ উপভোগ করলেও তাদের মন থেকে সন্দেহ যায় না। অবশেষে জানা যায় মনমোহন তাঁর সমস্ত সম্পত্তি অনিলার নামে লিখে দিয়েছেন। তখন অনিলার মামাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনিলা ও তার স্বামী মামার খোঁজে এক সাঁওতাল পল্লিতে এসে পৌঁছে। সেখানেই মনমোহনকে পাওয়া যায়। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মামাকে সন্দেহ করার জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সাতদিন/এমজেড