সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মি, ১ অক্টোবর, দেশ টিভি
বিশেষ নাটক: বোবা মাস্তান
রচনা ও পরিচালনা: আর বি প্রীতম
অভিনয়: সাজু খাদেম, মৌসুমী হামিদ
ময়মনসিংহ থানা সদরের অদূরে মালো পাড়া গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা জমিদার বাড়ির ভাগ্নে রানা ছোটবেলা থেকেই ডানপিঠে স্বভাবের। এলাকার যেকোন বিষয়ে তার ক্ষমতার দাপট সবারই জানা আছে। তাকে এলাকার সবাই বোবা মাস্তান নামে সম্বোধন করে। কারন তার সামনে কেউ কোন কথা না বলে বোবা এর মত দাঁড়িয়ে থাকলে সে কারো ক্ষতি করে না। তার চাওয়া শুধু মাত্র একটাই যে তার মুখের উপর কেউ কথা বলতে পারবে না। সে নিজেকে সবজান্তা মনে করে তাই এলাকার সব ব্যাপারে সে যা সিদ্ধান্ত নেয় তা সবাইকে মেনে নিতে হয়। তাই সে যখন কাওকে প্রশ্ন করে তার উত্তর ও সে নিজেই দিয়ে দেয়। রানা মূলত তার এইনাম নিয়ে সামান্য গর্ববোধ করে। এদিকে তালুকদার পরিবারের নাতনি সোনিয়া এলাকায় নতুন এসে সদর কলেজে ভর্তি হয়। ঘটনাক্রমে তার সাথে বোবা মাস্তানের দেখা হয়ে যায়। এলাকায় নতুন লোক দেখে বোবা মাস্তান তার পোলাপান এর দিয়ে এই মেয়ের খোঁজ খবর নেয়। পরের দিন সোনিয়া সম্পর্কে সব জানার পর বোবা মাস্তান তার পথ আটকায়। এরপর সোনিয়াকে প্রশ্ন করা শুরু করে এবং হাত দিয়ে ইশারা করে কথা না বলার জন্য। বোবা মাস্তনা নিজেই প্রশ্ন করে আবার নিজেই উত্তর দেয় কারন তার পোলাপান তাকে সব তথ্য দিয়েছে। সোনিয়া বোবা মাস্তানের এইরকম আচরনের কারনে তাকে যা-তা বলে অপমান করে। এই প্রথম বোবা মাস্তানের সামনে কেউ গলা উচু করে কথা বলছে। বোবা মাস্তান চরম অপমানিত হয় কিন্তু সোনিয়ার মুখে গালিগালাজ তার কাছে অমৃত মনে হয়। রাতে ঘুমাতে গিয়ে সে বারবার সোনিয়া এর কণ্ঠস্বর শুনতে পায়।পরেরদিন বোবা মাস্তান আবার পথ আটকায়, সোনিয়া ও কম না। বোবা মাস্তানের এক কথার বদলে সে দশ কথা শুনিয়ে দেয় বোবা মাস্তান কে। সোনিয়া কথা বলার সময় বোবা মাস্তান তার মোবাইলের রেকর্ডার অন করে রাখে যাতে বাসায় গিয়ে সোনিয়া এর ভয়েস শুনতে পারে। এভাবে চলতে চলতে তাদের দুইজনের মাঝে প্রেম হয়। সোনিয়া বিয়ের জন্য শর্ত দেয়, বোবা মাস্তান কে সোনিয়ার সামনে বোবা হয়ে থাকতে হবে। রানা সোনিয়ার কথায় রাজি হয় এবং সবাইকে সবার মত প্রকশের অধিকার ফিরিয়ে দেয়। শেষদৃশ্য দেখা যাবে বোবা মাস্তান ৩ বছর পর বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে আছে। সোনিয়া তার সাথে চিল্লাচিল্লি করছে, আশেপাশের সবাই কথা বলছে, সে চুপ করে আছে।