‘ট্র্যাজেডি পলাশ বাড়ি’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন
পরিবেশনায়: প্রাচ্যনাট
৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ ও রাত ৮টা ১৫ মি:
পরীক্ষণ থিয়েটার হল, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা
২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল। গভীর রাতে সাভারের পলাশবাড়ি’র স্পেকট্রাম সোয়েটার অ্যান্ড নিটিং ফ্যাক্টরিতে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন শতাধিক শ্রমিক। এমন সময় ধ্বসে পড়ে পুরো কারখানাটি এবং নিহত হয় প্রায় ৬৪ জন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, কোনো রকম ঝুঁকি মোকাবিলার ব্যবস্থা ছাড়াই ঘটনার তিন বছর আগে ফ্যাক্টরিটি তৈরি হয়েছিলো একটি জলাভূমির ওপর।
‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা একটি নাটক যেখানে তারাভান নামের এক কারখানার শ্রমিক তার স্মৃতিচক্র, স্বপ্নচক্র আর জীবনচক্রের রোমন্থনের মধ্য দিয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে একজন শ্রমিকের জীবন। সেদিনের নাইট শিফটে কাজ করতে আসা কর্মীদেরই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে তার জবানীতে। চার দেয়ালের মাঝে বন্দি অবস্থায় চাপা পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক নিয়ে জীবন কাটায় সে, আর মনে মনে জীবনের হিসেব মেলায়। তারাভান প্রতিনিধিত্ব করে এ দেশের লাখ লাখ পোশাক শ্রমিককে যারা হয় করুণ মৃত্যুকে বরণ করে নেয় অথবা দাস হয়ে বেঁচে থাকে।
নাটকে তারাভানের স্মৃতিচক্রের সমান্তরালে একই ঘটনাকে দেখানো হয় একজন ভিনদেশি আউটসোর্সিং পারসন মিস্টার ওয়েস্ট এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। সে এই ঘটনাকে তার অবস্থান থেকে বিস্ময় নিয়ে দেখে এবং বিশ্বের কাছে তা পৌঁছে দেয়। তারাভানরা কখনও জানতে পারে না জনৈক মিস্টার ওয়েস্ট-এর কথা।
আজাদ আবুল কালামের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটি’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন পারভীন সুলতানা কলি, মোহাম্মদ রফিক, রিফাত আহমেদ নোবেল, গোপি দেবনাথ প্রমূখ। ২৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই নাটকটি প্রাচ্যনাটের ৩০তম প্রযোজনা।
নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে ৮ জানুয়ারি। ঐ দিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ ও রাত ৮টা ১৫ মিনিটে নাটকটির পর পর দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে।
সাতদিন/এমজেড/৭জানুয়ারি২০১৫