রাত ১১টা, ৭ জুন, জিটিভি
বাঙালি বিশ্বময়ের এবারের ব্যক্তিত্ব
মৃণাল সেন
উপস্থাপনা: রোকেয়া প্রাচী
চিত্রনাট্য ও প্রযোজনা: অরিন্দম মূখার্জী বিংকু
মৃণাল সেন যখন ফ্রেমে বন্দী হন অভিনেতা রূপে আর বলেন নিজের আত্মজীবনী তখন একটু অবাক ই হবার কথা তাই না না? ফরিদপুরের সেই শৈশব এবং কৈশরের জীবন থেকে আজকের সফল চিত্র পরিচালক। মাঝখানে কখনো ঔষধ বিপননকারী, বিপ্লবী চেতনার সাংবাদিক আবার প্রতিবাদী হয়ে চলচ্চিত্রে আগমন। ব্যিখাত চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনের এই রকম নানা ঘটনা-দূর্ঘটনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে এবারের বাঙালি বিশ্বময়। অরিন্দম মূখার্জী বিংকুর চিত্রনাট্য ও প্রযোজনায় অনুষ্ঠানে এই কিংবদন্তী সম্পর্কে বলবেন মিঠুন চত্রবর্তী, নির্মাতা স্যাম বেনেগাল, অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জী, অঞ্জন দত্ত প্রমুখ।
বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায়া ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন প্রবাদপ্রতীম চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন। ছাত্রাবস্থায় বামপন্থী রাজনীতি’র সাথে যুক্ত হন এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখায় কাজ করেছেন। তখন তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
মৃণাল সেনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাতভোর’ মুক্তি পায় ১৯৫৫ সালে। ‘নীল আকশের নীচে’ তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা তাকে স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি এনে দেয়। তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৬৯ সালে মৃণাল সেন নির্মাণ করেন ‘ভূবন সোম’ যা চলচ্চিত্র জগতে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় এবং অনেকের মতে এটিই তাঁর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র। মৃণাল সেন পরিচালিত তিনটি চলচ্চিত্র—‘ইন্টারভিউ’, ‘ক্যালকাটা ৭১’ এবং ‘পদাতিক’ ক্যালকাটা ট্রলজি নামে পরিচিত।
মৃণাল সেন ১৯৮২ সালে নির্মাণ করেন তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘খারিজ’ যা ১৯৮৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি পুরস্কার পায়। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষর উপর নির্মিত তাঁর চলচ্চিত্র ‘আকালের সন্ধানে’। চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয় ১৯৮০ সালে এবং ১৯৮১ সালে এটি বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার হিসেবে রূপোর ভালুক জয় করে নেয়।
‘পদ্মভূষণ’ ও ‘দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার’সহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন মৃণাল সেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে ‘অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ’ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
সাতদিন/এমজেড