‘বেলা অবেলা সারাবেলা’ অনুষ্ঠানে

মহিউদ্দিন ফারুক

২৪ জানুয়ারি রাত ৯টা ৪৫ মি দেশ টিভি

উপস্থাপনা: আসাদুজ্জামান নূর

দেশের খ্যাতিমান শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক ১৯৪১ সালের ৩রা মার্চ, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার আড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবা আয়েত আলী সরকার ও মা দুধমেহের খানম। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ২ ভাই ১ বোনর মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ গ্রামের আড়ালিয়া প্রাইমারি স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতে খড়ি। বিভিন্ন স্কুল পেরিয়ে ১৯৫৮ সালে ঢাকার ‘মুসলিম হাই স্কুল’ থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তৎকালীন ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা, অভিনয়, ছবিআঁকা এসবের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন মঞ্চনাটকের দল ‘থিয়েটার’ এর সাথে যুক্ত হন তিনি। যুক্ত ছিলেন প্রগতিশীল রাজনীতির সাথেও।
বিশ্ববিদ্যালয় পাসের আগেই সুইডেন-পাকিস্তান ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার প্রজেক্টে চাকরি পেয়ে যান তিনি। ১৯৬৫ সালে চারুকলার পড়ালেখা শেষ করে ১৯৬৭ সালে তৎকালিন পাকিস্তান টেলিভিশনে যোগদান করেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানেই যুক্ত ছিলেন মহিউদ্দিন ফারুক।
তবে, চলচ্চিত্রে শিল্প নির্দেশনার জন্য সবচেয়ে বেশি সুনাম অর্জন করেন তিনি। উদয়ন চৌধুরীর ‘পুনম কি রাত’ ছবিতে শিল্প নির্দেশক হিসেবে তার চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা আরম্ভ। এরপর তিনি প্রায় ২০০ চলচ্চিত্রে শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন। পালঙ্ক, বসুন্ধরা, ডুমুরের ফুল, পিতা-মাতা-সন্তান, পদ্মা নদীর মাঝি, দুখাই এবং মনের মানুষ চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক হিসেবে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বাচসাস পুরষ্কার, প্রযোজক সমিতি পুরষ্কার সহ নানা পুরষ্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন শিল্পী মহিউদ্দিন ফারুক।
শিল্প নির্দেশনার বাইরে ‘বিরাজ বৌ’ চলচ্চিত্র নির্মান করে পরিচালক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেন তিনি।
বর্তমানে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ‘ফিল্ম এন্ড মিডিয়া’ ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৬৫ সালে তিনি ফাতেমা আক্তার বানু কে বিয়ে করেন। তাদের ১ মেয়ে ও ২ ছেলে। ছেলে মেয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে আনন্দের সংসার তার।

দেশ টিভির ‘বেলা অবেলা সারাবেলা’ অনুষ্ঠানে এবারের অতিথি হয়ে এসেছেন মহিউদ্দিন ফারুক। উপস্থাপক থাকছেন আসাদুজ্জামান নূর।
দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বরেণ্য, প্রাজ্ঞ এবং বয়সী নাগরিকদের বর্তমান জীবন এবং অতীত কর্মকান্ডের কথোপকথন নিয়ে এ অনুষ্ঠান। দেশের যারা সারা জীবন ধরে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, মননশীলতার চর্চা করে নিজেকে উন্নীত করেছেন এক ঈর্ষনীয় অবস্থানে, সারা জীবনের চর্চায় তিনি তৈরি করেছেন স্বকীয় এক পরিমন্ডল, যা থেকে উত্তরকালের নাগরিকগন পেতে পারেন উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা। অতিথি তাঁর যাপিত জীবনের বিভিন্ন কথা তুলে ধরবেন এ অনুষ্ঠানে।
এছাড়াও থাকবে অতিথির বিগত দিনের সব কাজ, বর্তমান অবসরের ফুটেজ, তারকার কাছের মানুষদের মন্তব্য। অনুষ্ঠানটি শনিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে দেশ টিভিতে।


আড্ডা ও আলোচনা

 >  Last ›