জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসবে
মহুয়া
পরিবেশনায়: নৃত্যাঙ্গন
২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা
মূল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা
ময়মনসিংহ গীতিকার অমর গাঁথা অবলম্বনে রচিত গীতি নৃত্যনাট্য ‘মহুয়া’। ওস্তাদ ইউনুছ আহমেদের নৃত্যপরিকল্পনায় নৃত্যনাট্যটি পরিচালনা করবেন মাকসুদুল আলম মিল্টন। নৃত্যনাট্যটির প্রধান প্রধান চরিত্রে রূপ দিয়েছেন মনির হোসেন জীবন, খন্দকার আব্দুর রহিম মিন্টু, লাবিবা জামান, প্রতিমা বর্মণ টুম্পা, তাহমিনা আক্তার সায়মা, মাকসুদুল আলম মিল্টন, আমির খসরু তুষার, শহিদুল ইসলাম শহিদ।
ডাকাত সর্দার ডাকাতি করতে গিয়ে চুরি করে আনে শিশুকন্যা মহুয়াকে। ডাকাত সর্দার হোমরা বাইদ্যা কাছে লালিত-পালিত হয় মহুয়া। মহুয়াকেু নাচ শেখাতে থাকে হোমরা। ধীরে-ধীরে সে নাচে-গানে, খেলা দেখানোয় পারদর্শী হয়ে ওঠে। ছোট্ট মহুয়া হয়ে ওঠে যৈবতী-সুন্দরী।
এভাবে বেদেদের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠে শিশু মহুয়া, তাদের আচার-আচরণে অভ্যস্ত হয়ে যায় সে। শিকারের পাশাপাশি সুন্দরী মহুয়া সাপ খেলা দেখানোতেও অত্যন্ত পারদর্শী। বেদে দলের সাথে দেশ- দেশান্তরে ঘুরে ঘুরে সাপ খেলা দেয়ায় মহুয়া।
একবার এক মুগ্ধ দর্শনার্থীর মুখে, গ্রামে বেদের দল এসেছে এবং তারা ভালো খেলা দেখাচ্ছে। খবরটি শুনে জমিদার নদের চাঁদ তার বাড়িতে খেলা দেখানোর জন্য বেদের দলকে লোক মারফত খবর দেয়, বেদে দল সানন্দে রাজি হয়। নদের চাঁদ, বেদের দলের খেলা দেখে মুগ্ধ হওয়ার চেয়ে অধিক মুগ্ধ হয় যৈবতী মহুয়াকে দেখে এবং জমিদার তার এলাকায় বেদের দলের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। জমিদারের মতো মহুয়ারও ভালো লাগে জমিদার নদের চাঁদকে। একসময় মহুয়ার প্রেমে মজে যায় জমিদার নদের চাঁদ। বেদেরা সেটাকে মেনে নিতে পারে না। শুরু হয় বিবাদ।
বেদে দলের সর্দার হোমরা বাইদ্যা এ কথা জানতে পারলে ক্ষিপ্ত হয়। হোমরা বাইদ্যা মহুয়াকে নির্দেশ দেয় নদের চাঁদকে হত্যা করতে। কিন্তু তা করতে পারেনা মহুয়া। ঘটনাক্রমে মহুয়া আত্মহত্যা করে। মহুার আত্মহত্যার পর পরই বেদের দলের সর্দারের নির্দেশে নদের চাঁদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সুজন। মঞ্চে মহুয়ার পাশে লুটিয়ে পড়ে নদের চাঁদ।
সাতদিন/এমজেড/২৬জানুয়ারি২০১৫