জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসবে

মায়ার খেলা

পরিবেশনায়: স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স ও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, চট্টগ্রাম

২৭ ডিসেম্বর রাত ৮টা

মূল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী সৃষ্টি গীতিনাট্য ‘মায়ার খেলা’। কবিগুরুর এই সৃষ্টিকে নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে মঞ্চে তুলে ধরছেন নৃত্যপরিচালক শুভ্রা সেনগুপ্তা। আলোক পরিকল্পনায় আছেন সুজিত দাশ বাপ্পী। নৃত্যনাট্যটির শ্রেষ্ঠাংশে থাকছেন চন্দ্রিমা বিশ্বাস/ সম্পূর্ণা দাশ, শুভ্রা সেনগুপ্তা, সুমন/শরীফ ও মানস/অয়ন। এ ছাড়াও দলীয় নৃত্যে থাকছেন পূর্ণা, জারিন, শিউলী, শীলা, প্রত্যাশা, মীম, তাওসীন, পায়েল, পূজা, প্রিয়াঙ্কা, সারা, অদ্রিজা, আদৃতা, তাসনিয়া, রাহা, পিঙ্কী, প্রিয়ন্তি, তন্ময়, তমাল, অপূর্ব ও রাহুল।

নাটকটির প্রথম দৃশ্যে মায়াকুমারীগণের আবির্ভাব ঘটে। মায়াকুমারীগণ কুহক শক্তির প্রভাবে মানব হৃদয়ে নানাবিধ মায়া সৃষ্টি করে। হাসি-কান্না, মিলন-বিরহ, বাসনা-লজ্জা, প্রেমের মোহ এ সমস্ত মায়াকুমারীদের সৃষ্টি। একদিন বসন্তের রাত্রে তারা ঠিক করিল, প্রমোদপুরের যুবক-যুবতীদের নবীন হৃদয়ে নবীন প্রেম রচনা করে তারা মায়ার খেলা খেলবে।

কে যে কখন কার প্রেমে পড়বে তা বুঝে ওঠা যায় না। আর প্রেমে পড়ার ব্যাপারটিও যে কি, কেন, এতে কি হবে সেও বোঝানো যায় না। মায়াকুমারীগণ অমর, শান্তা, অশোক, কুমার ও প্রদার মধ্যে নানা ঘটনা ঘটিয়ে শেষে গিয়ে বলেছে, ‘এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, সুখও চলে যায়’। জীবনের কঠিন সত্যটি হল, প্রেমও যায় সুখও যায়, থাকে শুধু যন্ত্রণা। ‘মায়ার খেলা’ এই অসামান্য যন্ত্রণাকে নানা ঘটনা পরম্পরার ভেতর দিয়ে বোধগম্য করে তুলেছে। ‘মানসী’ কাব্যে রবীন্দ্রনাথ নরনারীর সম্পর্ক নিয়ে যেমনটি ভেবেছেন, ‘মায়ার খেলা’ যেন তারই একটি তরলিত রূপ।

সাতদিন/এমজেড/২৬জানুয়ারি২০১৫


প্রদর্শনী

 >  Last ›