বইমেলার প্রথম দিনে

অনামিকা সাগরকন্যা

পরিবেশনায়: তুরঙ্গমী রেপার্টরী অফ ড্যান্স

১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিঃ

বাংলা একাডেমি, ঢাকা

বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত তিন কবি—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী জরুল ইসলাম এবং জীবনানন্দ দাশ-এর রচনার সংমিশ্রন ঘটেছে ‘অনামিকা সাগরকন্যা’ শীর্ষক নৃত্যনাট্যে। নানান সভ্যতা আর সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় জীবনানন্দ দাস যাকে খুজেছিলেন বনলতা সেন রূপে, রবীন্দ্রনাথ এর পূর্ব জন্মের প্রথমা প্রিয়া যে মালবিকা কিংবা নজরুলের অনামিকা। এই স্বপ্নসুন্দরী এক মরীচিকা, জ্যোতি, জন্মজন্মান্তর ধরে মনে মনে হয় যার আরতি, যেন না পাওয়া’র আরাধনা। সব মিলিয়ে ‘অনামিকা সাগরকন্যা’ একজন প্রেমিকের গল্প যে প্রেমের জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে নানা সভ্যতা আর সংস্কৃতির পরিভ্রমনের মধ্য দিয়ে তার স্বপ্নসুন্দরীকে খুঁজছে।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘অনামিকা’ এবং ‘খেলিছে জলদেবী’ শীর্ষক গান-এর সাথে চীনের ঐতিহ্যবাহী লোটাস ড্যান্স ও মারমেইড ড্যান্সের ফিউশনের মাধ্যমে ‘অনামিকা সাগরকন্যা’ নামক কোরিওগ্রাফিটির পরিকল্পনা করা হয়। ঢাকার অফিসার্স ক্লাব আয়োজিত নজরুল জয়ন্তীতে এটি প্রথম পরিবেশিত হয়। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বপ্ন’ এবং জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ অন্তর্ভুক্ত হয় এই নৃত্যনাট্যে। তিন কবির কল্পনাকে এক সুত্রে গেঁথে একটি গল্প বলার চেষ্টা করা হয়। নিরীক্ষাধর্মী এই নৃত্যনাট্যটি থাইল্যান্ডের ‘ইফ ফেস্টিভ্যাল অফ পারফর্মিং আর্ট ২০১৪’-এর জন্য মনোনিত হয়।

এই আয়োজনের ভাবনা, নকশা, নৃত্য পরিচালনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত। বাংলার পাশাপাশি তিন কবির কবিতার ইংরেজি অনুবাদ আবৃত্তি করা হয় এই নৃত্যনাট্যের আবহে।

সাতদিন/এমজেড/৩১জানুয়ারি২০১৫


প্রদর্শনী

 >  Last ›