তারিন ও নাঈম

বিশেষ নাটক: আনতারা

১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা চ্যানেল নাইন

রচনা: ইফফাত আরেফিন মাহমুদ তন্বী
পরিচালনা: ফাহমিদা ইরফান
অভিনয়: তারিন, ইন্তেখাব দিনার, নাঈম

শেহজাদী, বয়স পয়ত্রিশ বছর, পুরো নাম চৌধুরী আনতারা শেহজাদী বিন জুবাইর। নামের যেমন একটা ভার আছে তেমনি চেহারা ও জ্ঞানের একটা ভার আছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ড্রিগ্রি থাকা স্বত্ত্বেও শেহজাদী সময় দেয় সংসারকে স্বামীকে। শেহজাদীর স্বামী নওশাদ সাদ নাম করা পরিবেশ বিজ্ঞানী। মানুষ হিসাবে নওশাদ খুব উঁচু দরের, নওশাদ বিশ্বাস করেন ভালোবাসা মানে অধিকার ফলানো নয়। দায়িত্ববোধ। একটি সেমিনারে অংশগ্রহন করার জন্য নওশাদ আর শেহজাদী থাইল্যান্ড আসে। শেহজাদী লেখাপড়া ব্যাংককে এখান থেকেই পিএইচডি করেছে। কিন্তু নওশাদ কে নিয়ে কখনোই আসা হয়নি তার। নওশাদ এর দেখভালের দায়িত্ব পড়ে ড. খান ওরফে অতনুর ওপর। অতনু ইউনির্ভাসিটির লেকচারার। অতনুকে নওশাদের ভালোলেগে যায়। দুজনের বেশ আড্ডা হয়, রুমে ফিরে নওশাদ শেহজাদীকে বলে শেহজাদীর ছোটবোন নাজরানার জন্য ড. খানকে তার পছন্দ হয়েছে কাল নিয়ে আসবে আলাপ করাতে। নওশাদ অতনুকে হোটেলে নিয়ে আসে শেহজাদীর সাথে আলাপ করাতে। শেহজাদী ফিরে যায় বারোবছর আগে যখন সে পি এইচডি করছে, সে সময় বয়সে ছোট অতনুর সাথে ওর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নওশাদ রাতে শেহজাদীকে জানায় অতনুকে সে নাজরানার কথা বলেছে। শেহজাদী খুব রিয়্যাক্ট করে কেন বলেছে নাজরানার কথা। নওশাদ খুব অবাক হয় বলে নাজরানাতো আমারও বোন...। তারপর শেহজাদীকে বলে আমি অতনুকে পাঠাবো তোমাকে একটু সব ঘুরিয়ে দেখাবে তুমি ওকে দেখো। শেহজাদী নিষেধ করে। নওশাদ তবুও পাঠিয়ে দেয়। প্রথমদিন নানা জবাবদিহিতা ঝগড়ায় কাটে আস্তে আস্তে অতনু আবার শেহজাদী গ্রস্ত হয়ে পড়ে যাকে ও ডাকতো আনতারা নামে। অতনু আনতারাকে বলে তুমি নওশাদকে ডিভোর্স কর। আমরা বিয়ে করবো। আনতারা এই প্রস্তাবে হতভম্ব। শেহজাদী নওশাদের কাছে আসে বলে নাজরানার জন্য অতনুকে ওর ভালোলাগেনি ।
মাঝরাত শেহজাদী ঘুমিয়ে নওশাদ ওঠে বসে। দেখা যায় নওশাদ অতনু আর শেহজাদীর কথা ভাবছে সে ওদের কথোপকোথন শুনে ফেলেছিলো। সে একা একা বলে ভালোবাসি মানে আমাকে সব বলতে হবে এমন কোন কথা নেই । ভালোবাসা মানে ছাড় দেওয়া। শেষদৃশ্য সমুদ্রের পাড়ে রাতে অতনু . .চিৎকার বলছে আনতারা গ্রো ওল্ড টু গেদার . . ।


নাটক

 >  Last ›