দর্শকদের ভালোবাসার গল্প থেকে নাটক
'ফাল্গুনে ভালোবাসা বৈশাখে প্রেম'
রচনা: জাহেদুল আলম ( জাহেদ) ও জুলহাস আহমেদ
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: আলভী আহমেদ
অভিনয়: রিয়াজ, মম
√ রাত ৮ টা ২০ মি আরটিভি
ভালোবাসা দিবসের জন্য আরটিভি দর্শকের কাছ থেকে ভালোবাসার গল্প আহবান করে। সেখান থেকে বাছাই করা গল্প নিয়ে নির্মিত হলো নাটক ‘ফাল্গুনে ভালোবাসা বৈশাখে প্রেম’। দর্শকের প্রেমের গল্পে অভিনয় করলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ ও অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। জাহেদুল আলম ( জাহেদ) ও জুলহাস আহমেদের মূলগল্প থেকে নাটকটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন আলভী আহমেদ। নাটকটি দেখা যাবে আরটিভিতে ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসে রাত ৮ টা ২০ মিনিটে।
নাটকটি সম্পর্কে মম বলেন, ‘ লাক্স্র সুন্দরী হওয়ার পর আমার জীবনের প্রথম কাজ দারুচিনি দ্বীপ সিনেমা রিয়াজ ভাইয়ের সাথে করি। এরপর আরও একটি নাটকে কাজ করা হয়। কিন্তু তারপর কেনো জানি আর কোনও কাজ করা হয় নি। তৃতীয়বারের মত তার সাথে কাজ করছি। নাটকে আমার চরিত্র ভিন্ন ধর্মী। কথা ছাড়াই অনেক কিছু বোঝাতে হচ্ছে। মজা পেয়েছি কাজটি করে। রিয়াজ ভাই অনেক কো-অপারেটিভ। আর এ নাটকের গল্পও অন্য ধরনের। সব মিলে এ নাটকে অন্য রকম একটি কাজ দর্শক দেখতে পাবেন।’
রিয়াজ বলেন, ‘এ নাটকের গল্প একটি ম্যাচিউরড প্রেমের গল্প। আর আমার কো-আর্টিস্ট মম অনেক ভালো অভিনয় করে। আশা করি এ নাটকটি দর্শকনন্দিত হবে।’
আলভী আহমেদ বলেন, ‘রিয়াজ-মম দুজনেই তুমুল দর্শকপ্রিয়। ফাল্গুনে ভালোবাসা বৈশাখে প্রেম-ভালো একটি গল্প। এখানে আমার নির্মাণের জায়গা থেকে অনেক কিছু করার আছে। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। বাঁকিটা দর্শক বিচার করবেন।’
নাটকর কাহিনীতে দেখা যাবে, অর্পিতা সহজ সরল চুপচাপ, শান্ত একটি মেয়ে, মাস্টার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে আবিদ একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। একদিন অর্পিতাকে মার্কেটে আবিস্কার করে আবিদ। এরপর দেখা তাদের প্রতিদিনের যাতায়াতের পথ বাসস্ট্যান্ডে। অর্পিতার মায়াবী সহজ সরল অনেক আগেই আবিদকে মুগ্ধ করে, মনের মাঝে তৈরি হয় ভাল লাগা। একদিন অর্পিতা বাস উঠতে গিয়ে তার খাতা ফেলে যায়। সেটা পায় আবিদ। খাতার অপর পৃষ্টায় অর্পিতার নাম্বার। আবিদ অর্পিতাকে কল করে। কিন্তু কেউ ফোন ধরে না। কিছুক্ষণ পরে ফিরতি মেসেজ আসে। শুরু হয় আবিদ আর অর্পিতার এস এম এস চালাচালি। আবিদ অনেকবার অর্পিতার সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে অর্পিতা রাজি হয় না। এর মাঝে আবিদের ঢাকার বাইরে ট্রান্সফার হয়। আবিদ সেখানে চলে যায়। আবিদ অর্পিতাকে আরও বেশি মিস করা শুরু করে। এক পর্যায়ে আবিদ তার ভালবাসার কথা অর্পিতাকে জানিয়ে দেয়। অর্পিতা কোন উত্তর দেয় না। অন্যদিকে আবিদের জন্য বাসা থেকে পাত্রী খোঁজা হয় এবং আবিদের সাথে পাত্রীর সাথে দেখা করানোর ব্যবস্থা চলতে থাকে। কয়েকদিন অর্পিতার কোন উত্তর না পেয়ে আবিদ চিন্তায় পরে যায়। পরে বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করে আবিদ সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকায় এসে অর্পিতাকে সামনাসামনি ভালবাসার কথা বলবে। কিন্তু অর্পিতার ঠিকানায় গিয়ে অর্পিতাকে পায় না। ঘটনার মোড় নেয় অন্যদিকে।