ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার4

দুপুর ২টা ৩০ মি, ১৪ এপ্রিল, চ্যানেল আই

ছোটপর্দায় ‘হরিযূপীয়া’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার

পরিচালনা: গোলাম মোস্তফা শিমুল
অভিনয়: কাজী রাজু, খায়রুল আনাম সবুজ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু

‘হরিযূপীয়া’ শব্দটা কত প্রাচীন তা নিশ্চিত করে বলাটা কঠিন। তবে বহুশত বছর আগে হরপ্পায় চালানো হত্যাযজ্ঞের সাথে এই শব্দটির যোগ আছে। হরি শব্দটি গণ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে যূপ হচ্ছে যূপকাষ্ঠ অর্থাৎ যে বিশেষ কাঠের ফাঁকে প্রাণীর গলা ঢুকিয়ে তাকে বলি দেওয়া হয়। আর যূপীয়া বলির স্থানটিকে নির্দেশ করে। হরিযূপীয়া নামটি এই চলচ্চিত্রে গণহত্যার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানী ও তাদের এদেশীয় দোসররা যে গণহত্যা চালিয়েছিল সেটাকে ঘিরেই হরিযূপীয়ার মূল গল্প আবর্তিত হয়েছে। মূলতঃ বিজয়ের ঠিক আগে আমাদের বুদ্ধজীবিদের হত্যার মাধ্যমে এ দেশকে মেধাশূন্য করবার যে পরিকল্পনা তারা করেছিল, সেই বিষয়কে উপজীব্য করেই এই চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে। একজন প্রত্নতত্ত্ব গবেষক যুদ্ধের কারণে তার একটি স্থানে খননের কাজ সমাপ্ত করতে পারে না, মাঝপথে তাকে থেমে যেতে হয়। তবে থেমে যাওয়ার আগে সেই স্থানটিতে কিছু পোড়ামাটির টালি পায় সে। টালিগুলোতে কিছু ছবি আঁকা ছিল। আর নিচে সামান্য কিছু লেখা ছিল। তরুণ গবেষক সেই লেখা আর ছবির অর্থ বুঝতে পারছিল না, তাই তিনি আরও কিছু চিন্তাশীল মানুষের সাহায্য নেন। তাঁরা বেশ কয়েকজন মিলে সেই ছবি অর্থ খুঁজতে চান। আর এই অনুসন্ধানেই বেরিয়ে আসে বাংলা আর বাঙালীর নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের কিছু অংশ। তারা খুঁজে পায় ইতিহাসের কিছু গণহত্যার কথা। ইতিহাসের গণহত্যার ঘটনা খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা নিজেরাও গণহত্যার শিকার হন। মৃত্যুর আগে তাঁরা আবিস্কার করেন হরিযূপীয়া অর্থাৎ গণহত্যার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই, নেই কোন নির্দিষ্ট সময়। সে ঘোরে ফেরে কাল থেকে কালে, স্থান থেকে স্থানে, দেশ থেকে দেশে। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হরিযূপীয়া’।

হরিযূপীয়া’র চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন গোলাম মোস্তফা শিমুল। ছবিটির প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর। অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, কাজী রাজু, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, পাভেল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ, বিথী রানী সরকার, জুনায়েদ হালিম, শফিউল আলম, নাফা প্রমূখ।

সাতদিন/এমজেড

১৪ এপ্রিল ২০১৫

মুভি

 >  Last ›