রাত ৯টা ৪৫ মি, ২ মে, দেশ টিভি

‘বেলা অবেলা সারাবেলা’ অনুষ্ঠানে

অধ্যাপক ডা. টি.এ. চৌধুরী

উপস্থাপনা: আসাদুজ্জামান নূর

দেশবরেণ্য চিকিৎসক, স্ত্রী রোগ ও ধাত্রী বিদ্যায় বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. টি.এ. চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১১ই অক্টোবর, ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তবে তার পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা গ্রামে। তার বাবা মজিরউদ্দিন আহমেদ এবং মা নূরুন্নাহার বেগম। বাবার চাকরি সূত্রে টি.এ. চৌধুরীর ছেলেবেলা কেটেছে কলকাতায়। সেখানকার কলিন্স স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। দেশভাগের পর ফিরে এসে গ্রামের স্কুলে কিছুদিন পড়ালেখা করেন। এরপর ঢাকায় এসে প্রথমে ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলে এবং ক্লাস সেভেন থেকে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯৫৩ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি। এরপর ১৯৫৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ডাক্তারি পড়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬০ সালে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর পোস্টগ্রাজুয়েশন করতে ইংল্যান্ড চলে যান। ১৯৬৫ সালে পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বেশ কিছুদিন কাজ করে ঢাকার আইপিজিএমআর অর্থাৎ বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। এখানেই কেটেছে তার কর্মজীবনের দীর্ঘ ২২ বছর। সেখানকার পরিচালক হিসেবে ১৯৯৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যায় যেমন সফলতা ও কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন, তেমনি তৈরী করেছেন অনেক যোগ্য উত্তরসূরী।

অবসর গ্রহনের পর থেকে সেবামূলক কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন তিনি। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি বারডেম-এ অবৈতনিক চিকিৎসক ও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া নিজ গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে অসংখ্য ছেলে-মেয়ে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১৯৬৬ সালে ডা. ফরিদা খাতুন কে বিয়ে করেন। তাদের ৩ মেয়ে। তিনজনই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এখনো সকাল থেকে রাত চিকিৎসা সেবাতেই কাটে তার সময়। এর মাঝে অবসর পেলে পরিবার আর নাতি-নাতনির সঙ্গই তাকে আনন্দ দেয়।

দেশ টিভির ‘বেলা অবেলা সারাবেলা’ অনুষ্ঠানে এবারের অতিথি হয়ে এসেছেন অধ্যাপক ডা. টি.এ. চৌধুরী। উপস্থাপক থাকছেন আসাদুজ্জামান নূর।

দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বরেণ্য, প্রাজ্ঞ এবং বয়সী নাগরিকদের বর্তমান জীবন এবং অতীত কর্মকান্ডের কথোপকথন নিয়ে এ অনুষ্ঠান। দেশের যারা সারা জীবন ধরে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, মননশীলতার চর্চা করে নিজেকে উন্নীত করেছেন এক ঈর্ষনীয় অবস্থানে, সারা জীবনের চর্চায় তিনি তৈরি করেছেন স্বকীয় এক পরিমন্ডল, যা থেকে উত্তরকালের নাগরিকগন পেতে পারেন উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা। অতিথি তাঁর যাপিত জীবনের বিভিন্ন কথা তুলে ধরবেন এ অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও থাকবে অতিথির বিগত দিনের সব কাজ, বর্তমান অবসরের ফুটেজ, তারকার কাছের মানুষদের মন্তব্য। অনুষ্ঠানটি শনিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে দেশ টিভিতে।

২ মে ২০১৫

আড্ডা ও আলোচনা

 >  Last ›