সন্ধ্যা ৭টা, ৩০ মে, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা

মঞ্চস্থ হচ্ছে রবি ঠাকুরের চণ্ডালিকা


পিওপল’স লিটল থিয়েটারের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত নৃত্যনাট্য ‘চণ্ডালিকা’। ঢাকার সেগুন বাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে ৩০ মে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। রাজেন্দ্রলাল মিত্র-কর্তৃক সম্পাদিত নেপালী বৌদ্ধ সাহিত্যে শার্দূলকর্ণাবদানের যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা থেকে এই নাটিকার গল্পটি নেওয়া হয়েছে। এক চণ্ডালীর জীবনকে ঘিরে এই নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়। নাটকটির নির্দেশনায় থাকছেন ভারতীয় শিল্পী সোমা গিরি। ১০০ ও ৫০ টাকার টিকেটের বিনিময়ে যে কেউ প্রদর্শনীটি উপভোগ করতে পারবেন। শিশুদের জন্য টিকেটের মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

গল্পের ঘটনাস্থল প্রাচীন নগরী শ্রাবস্তী। প্রভু বুদ্ধ তখন অনাথপিণ্ডদের উদ্যানে প্রবাস যাপন করছেন। তাঁর প্রিয় শিষ্য আনন্দ একদিন এক গৃহস্থের বাড়িতে আহার শেষ করে বিহারে ফেরবার সময় তৃষ্ণা বোধ করলেন। দেখতে পেলেন, এক চণ্ডালের কন্যা, নাম প্রকৃতি, কুয়ো থেকে জল তুলছে। তার কাছ থেকে জল চাইলেন, সে দিল। তাঁর রূপ দেখে মেয়েটি মুগ্ধ হল। তাঁকে পাবার অন্য কোনো উপায় না দেখে মায়ের কাছে সাহায্য চাইলে। মা তার জাদুবিদ্যা জানত। মা আঙিনায় গোবর লেপে একটি বেদী প্রস্তুত করে সেখানে আগুন জ্বালল এবং মন্ত্রোচ্চারণ করতে লাগল। আনন্দ এই জাদুর শক্তি রোধ করতে পারলেন না। রাত্রে তার বাড়িতে এসে উপস্থিত। তিনি বেদীর উপর আসন গ্রহণ করলেন। প্রকৃতির মনে তখন পরিতাপ উপস্থিত হল। সে পরিত্রাণের জন্যে ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে কাঁদতে লাগল।

 

ভগবান বুদ্ধ তাঁর অলৌকিক শক্তিতে শিষ্যের অবস্থা জেনে একটি বৌদ্ধমন্ত্র আবৃত্তি করলেন। সেই মন্ত্রের জোরে চণ্ডালীর বশীকরণবিদ্যা দুর্বল হয়ে গেল এবং আনন্দ জাদুমুক্ত হলেন। প্রকৃতি জীবনের বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পারল এবং নতুনভাবে জীবন লাভ করল।

সাতদিন/এমজেড

৩০ মে ২০১৫

প্রদর্শনী

 >  Last ›