সন্ধ্যা ৭টা, ৪ জুন, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা
থিয়েটার পূণ্যভূমি’র প্রযোজনায়
মঞ্চস্থ হবে ‘মহুয়া’
ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে থিয়েটার পূণ্যভূমি মঞ্চস্থ করবে ময়মনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত লোককবি দ্বিজ কানাইয়ের বিখ্যাত পালা ‘মহুয়া’। এই বিখ্যাত পালাটির নবনাট্যরূপ দান ও নির্দেশনায় রয়েছেন জুলফিকার হোসাইন সোহাগ। এ নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয় এক বেদে কন্যাকে কেন্দ্র করে।
বেদে সর্দার হুমরা একজন ডাকসাইটে ডাকাত। একবার কাঞ্চনপুরের এক ব্রাহ্মণ বাড়িতে হানা দেয় সে। সবকিছু তছনছ করে ফেলে। হঠাৎ করে ওই বাড়িতে সে এক কন্যা সন্তানের খোঁজ পায়। তাকে দেখে সর্দারের সব সম্পদের লোভ ভুলে যায়। ব্রাহ্মণ কণ্যাকে সে চুরি করে নিয়ে আসে। সব ছেড়ে দিয়ে গারো পাহাড়ে ঘর বাধে সে। তার নাম রাখে ‘মহুয়া সুন্দরী’। হুমরা মহুয়াকে একজন খাটি বেদে কন্যা করে গড়ে তোলে।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে গান গেয়ে সাপখেলা দেখানোই বেদে সম্প্রদায়ের কাজ। একদিন খেলা দেখাতে গিয়ে মহুয়ার সাথে নাটকীয়ভাবে দেখা হয় জমিদারপুত্র সুদর্শন নদের চাঁদের সাথে। মহুয়ার গান শুনে আর রূপ দেখে মুগ্ধ নদের চাঁদ, প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যায়। তারপর সময়ের আবর্তে আরো গভীর হয় মহুয়া-নদের চাঁদের প্রেম উপাক্ষাণ। বেদে বহরে ওদের প্রেম কাহিনী চাউর হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেদে সর্দার হোমরা বাইদ্দা। বেদে সম্প্রদায়ের নিয়ম ভেঙ্গে নদের চাঁদের সাথে মহুয়ার এই অন্যেয় সম্পর্ক সর্দার কোনভাবেই মেনে নেয়না। এভাবেই নানা দ্বব্দ্বের মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে যায়।
এ নাটকে অভিনয় করেছেন (মহুয়া) অপরাজিতা প্রজাপতি, (নদের চাঁদ) জুলফিকার হুসাইন সোহাগ, (হুমরা) সোহাগ আশরাফি, (মাইনকা) সোহান বাবু (সুজন) দুর্জয় আনোয়ার (মহুয়া মাতা) ফাতেমা কাশেম (সওদাগর) সজিব ইয়াহিয়া (সন্যাসি) তুষার আজাদ (ব্রাম্মন) গিয়াস উদ্দিন (সভাসদ) মিলন বাড়ই (গোমস্তা) আরিফ (গ্রাফার) কাজি সফিউল (মিউজিক) দুলাল দাস।
সাতদিন/এমজেড