সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মি, ঈদের ৭ম দিন, দেশটিভি
বিশেষ নাটক: জোড়া শালিক
রচনা ও পরিচালনা: মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
অভিনয়: তারিক আনাম খান, দিতি, তৌসিফ, সাফা কবির
হায়াত সাহেবের বয়স ৬০ পার হলেও তিনি খুব আমুদে লোক। কর্ম জীবনে ব্যস্ত সময় পার করার ফলে বিয়েটাও করা হয়নি তার। তাই আজ এতদিন পরে এসে মনের মত একজনকে খুঁজে বেড়ান তিনি। একদিন রেস্তোরায় খেতে গিয়ে শিরিন নামের একজন ভদ্র মহিলাকে ভালো লাগে তার। এরপর মহিলার পিছু নেন, বাড়ি খুঁজে বের করেন, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, ফোন নাম্বার সংগ্রহ করেন এবং নিয়মিত ফোনে কথা বলা শুরু করেন। জানা যায় শিরিনের সাথে তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগেই। হায়াত সাহেবের মধ্যে এক ধরেন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। হায়াত সাহেবের ভাতিজা জুনায়েদ। মা বাবা হারানো জুনায়েদ চাচার কাছেই বড় হয়েছে। তাই সে চাচার পরিবর্তন ধরতে পারে নিমেষেই। এদিকে শিরিনের মধ্যেও পরিবর্তন লক্ষ করে তার একমাত্র মেয়ে জারা। জারা বুঝতে পারে তার মা প্রতিদিন কার সাথে যেন কথা বলে এবং তাকে দেখলেই এড়িয়ে যায়। এদিকে জারা এবং জুনায়েদ একই ভার্সিটিতে পড়ে। তাদের মধ্যেও রয়েছে প্রেমের সম্পর্ক। জারার জন্য শপিং মলে দাঁড়িয়ে থাকে জুনায়েদ। জারার বাড়ির সামনে গিয়ে অপেক্ষা করে। হায়াত সাহেবও শিরিনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে এবং অপেক্ষা করে। একদিন চাচা ভাতিজা দুজনেই মুখোমুখি ধরা পড়ে। কিন্তু হায়াত সাহেব বিষয়টা এড়িয়ে যায়। এভাবে বারবার যখন ধরা পড়ছিল তখন একদিন হায়াত সাহেব জুনায়েদ আর জারার কাছে পুরো বিষয়টি শেয়ার করে। জানায় সে শিরিনকে ভালোবাসে কিন্তু বয়সের কারনে দুজনে বিয়ে করতে পারছেনা। কিন্তু পরে জারা আর জুনায়েদ মিলে হায়াত সাহেব ও শিরিনের বিয়ের পরিকল্পনা করে। আসলে মনের দিক থেকে তারুণ্য থাকলে বয়স কোন বাধা নয়। এভাবে দুই তরুন মনের মানুষের মিল হতে দেখা যায় নাটক ‘জোড়া শালিক’এ।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, দিতি, তৌসিফ, সাফা কবির।
সাতদিন/এমজেড