সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মি, ঈদের দিন, দেশটিভি
বিশেষ নাটক: স্বল্প দৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র
রচনা ও পরিচালনা: ইমেল হক
অভিনয়: সাজু খাদেম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, আনন্দ খালেদ, জয়নাল জ্যাক
তিন বছর পর আজ জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে নুপুর। এই শহওে তার আপন কেউ নেই বলে কেউ তাকে নিতে আসবেনা এমনটাই ধরানা ছিল তার। কিন্তু হায় ফুলের মালা হাতে দাঁড়িয়ে আছে আনিস। সেই আনিস যাকে সে প্রতরনার ফাঁদে ফেলেছিল। আনন্দে চোখে পানি চলে আসে নুপুরের। মালা পরিয়ে নুপুরকে বরণ করিয়ে নেয় আনিস। পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করে দুজনেই খুব আবেগপ্রবন হয়ে যায়। সিদ্ধান্ত নেয় শীঘ্রই বিয়ে করবে।
মহা সমারোহে চলতে থাকে বিয়ের কেনাকাটা। ভালোবাসার হাওয়ায় দুলতে থাকে আনিস আর নুপুর। একদিন আনিস ব্যবস্ত থাকায় নুপুর একাই মার্কেটে যায় শপিং করার জন্য। নুপুরকে কিডন্যাপ কওে শহরের শীর্ষ সন্ত্রসী জেমস ও বন্ড। নুপুরের চেহারা জেমস এর গার্লফ্রেন্ড এর সাথে অনেক মিল আছে। তাকে ভেবেই তুলে আনা হয়েছে নুপুরকে। ভুল কওে হলেও তুলেই যখন আনা হয়েছে তখন তারা আনিসকে ফোন দেয় এবং নুপুরের জন্য ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। ভাবনায় পড়ে যায় এফডিসির জুনিয়র আর্টিস্ট আনিস। এত টাকা সে কোথায় পাবে? অন্যদিকে জেমস অঅর বন্ডকে নিয়ে মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে নুপুরের সাথে। এদিকে আনিস পুলিশ ও গোয়েন্দাদের বিভিন্ন ডকুমেন্টারী দেখতে থাকে আর পরিকল্পনা করতে থাকে কিভাবে উদ্ধার করা যায় নুপুরকে। আনিস এবার ছদ্মবেশে খুঁজতে থাকে জেমস এবং বন্ডকে। খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে সে পেয়ে যায় তাদের আস্তানা। সিনেমার হিরোদের মত সে জেমস এবং বন্ডকে ইচ্ছেমত পেটায়। উদ্ধার করে নুপুরকে। এভাবেই শেষ হয় নাটক ‘স্বল্প দৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র’।
ইমেল হকের রচনা ও পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন সাজু খাদেম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, আনন্দ খালেদ, জয়নাল জ্যাক’সহ আরও অনেকে।
সাতদিন/এমজেড