বিকাল ৩টা, ঈদের ৫ম দিন, এসএটিভি

টেলিফিল্ম: আবারও দেবদাস

মূল গল্প: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রচনা ও পরিচালনা: ইমরাউল রাফাত
অভিনয়: আরফান নিশো, মিথিলা, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া


বড়লোক বাবার একমাত্র সন্তান দ্বীপ। স্বভাব, আচরনে অনেকটা একরোখা স্বভাবের হলেও মান অভিমন আর প্রখর বুদ্ধিমত্তা তাকে অন্যদের থেকে একটু আলাদা করেই পরিচয় করায়। খুব বেশি বন্ধুবান্ধব নেই তার। সবার থেকে নিজেকে একটু গুটিয়ে রাখতেই পছন্দ তার। পরিবারের বাইরে তার দুনিয়া বলতে একজনই, আর সে হল তার প্রতিবেশী গফুর সাহেবের মেয়ে পারুল। পারুল, খুব অল্প বয়সেই অনেক বেশি বোঝার অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে তার। তার দুনিয়া বলতেও ঐ একজনই। আর সে হল প্রতিবেশী সালাম আঙ্কেলের ছেলে দ্বীপ। দ্বীপের সাথে সম্পর্কটা অনেকটা বন্ধুর মত, মাঝে মাঝে বন্ধুত্তের চাইতে একটু বেশি। একজনের বয়স পনের আর অন্যজনের সতের। এই অল্প বয়সেও দ্বীপকে নিয়ে পারুলের স্বপ্নটা একটু যেন বেশীই। মনের অজান্তেই সে কখন যে দ্বীপকে ভালবেসে ফেলেছে তা সে নিজেও জানে না। অবশ্য দ্বীপ যেন ঠিক তার উল্টো। পারুলের সাথে তার কথাবার্তা, আচার-আচরণ দেখলে বোঝাই যায় যে বন্ধুত্তের বাইরে তার মধ্যে অন্যকোন চিন্তা নেই।

পারিবারিক জীবনে অনেকটা একগুঁয়ে জীবনযাপন দ্বীপের। পরিবারে মায়ের সাথে তার সম্পর্ক ভাল থাকলেও পয়সা আর আভিজাত্যের কাছে বাবার সাথে তার সম্পর্ক অনেকটা সাপে নেওল। যাহোক, সময়ের সাথে সাথে বন্ধুদের পাল্লায় পরে খারাপ পথে বা বাড়ায় দ্বীপ। তার অবস্থার এহেন অবনতির জন্যই বাবা সিদ্ধান্ত নেয় তাকে বিদেশে পাঠাবে পড়াশুনার জন্য। সেখানে গেলে হয়ত ভাল হবে সে। পারুল আর দ্বীপের সম্পর্কের মাঝে আকাশ ভেঙে পরার মত অবস্থা হয়। যদিও দ্বীপ বলে যায় সে ফোন করবে, মেসেজ পাঠাবে। ওখানে গিয়ে আর সেটা করা হয়না দ্বীপের। স্থানের দুরুত্বের সাথে সাথে সম্পর্কের দুরুত্বটাও বেরে যায় এমনিতেই সময় গড়িয়ে যায়।

সাতদিন/এমজেড

২১ জুলাই ২০১৫

নাটক

 >  Last ›