রাত ৮টা, ঈদের দিন, বাংলাভিশন
নাটক: তাহার একদিন
রচনা: বিপাশা হায়াত
পরিচালনা: তৌকির আহমেদ
অভিনয়: তৌকির আহমেদ, তারিন, শাহরিয়ার নাজিম জয়
বিপাশা হায়াত-এর রচনা ও তৌকির আহমেদ-এর পরিচালনায় নাটক ‘তাহার একদিন’ বাংলাভিশনে প্রচার হবে ঈদের দিন রাত ৮টায়। নাটকে অভিনয় করেছেন তৌকির আহমেদ, তারিন, শাহরিয়ার নাজিম জয়, সেতু প্রমুখ।
সেতু একজন অনাথ হিসেবে বড় হয়েছে তার কেউ নেই। কিছু অনাথ শিশুর ভরন-পোষন নিয়েই তার জীবন, গত এক বছরে সে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা জমিয়েছে, একটি হোষ্টেল এর কাজ শুরু করার জন্য। টাকাটা গ্রহন করে সে গাড়ী নিয়ে রওনা হয়। পথে গাড়ীর চাকা নষ্ট হলে সে থামে সেখানে একটি মেয়ে তার কাছে লিফট চায়, সেতু এড়িয়ে যেতে চায় কিন্তু মেয়েটি অন্ত:স্বত্বা তাই সেতুর মায়া হয় এবং মেয়েটিকে গাড়ীতে তোলে। তার টাকা নেই তাই এক আতœীয় ডাক্তার দেখাবে, সেতুর ফোন থেকে ফোন করে সে কথা বলে এবং কোথায় নামতে হবে জেনে নেয়। নির্দিষ্ট স্থানে এসে সেতু দেখে নির্জন জায়গা আর তখনই তিন যুবক অস্ত্রসহ ঘিরে ধরে তাকে। তারা টাকার ব্যাগ কেড়ে নিতে চায়, এক পর্যায়ে গুলি করে যুবক, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেতু। টাকা ও তার গাড়ী নিয়ে চলে যায় মেয়েটি ও তিন যুবক।
মেয়েটির নাম রূপা সে প্রেগনেন্ট নয়, ওটা ছিল তার সাজ। ছেলেটির নাম রন্জু। রূপা ও রন্জু মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে। রূপা এই পেশা ছাড়তে চায়। কিন্তু রন্জুর এখনও আর কিছু টাকার দরকার ব্যবসার জন্য। রূপা বাড়ী ফিরে। তখনই টিভিতে খবর দেখে একজন গুলিবিদ্ধ একজন মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন। রক্তের গ্র“প রূপার সঙ্গে মিলে যায় এবং সে সেতুকে চিনতে পায়। রূপা পৌছে যায় সেই হাসপাতালে এবং রক্ত দেয় সেতুকে। নার্স এর বিবরন অনুযায়ী সে বুঝতে পারে রক্ত দেযা মেয়েটি আর কেউ নয় ঐ রূপা। সুস্থ হয়ে সে হাসপাতাল ছাড়ে ব্লাড ডোনেশন ফর্ম থেকে সে রক্তদাতার ঠিকানা নিয়ে দেখা করতে যায়। কিনÍু ঠিকানাটা ভুল দেয়া। এবার তার ফোনের কল লিষ্ট থেকে রূপার করা নম্বর অনুযায়ী সে ডিবি অফিসারের মাধ্যমে খুজে পায় রন্জুকে। সে রন্জুকে অনুসরন করে পৌছে যায় রূপার কাছে। রূপা বর্ণনা করে তার অভাবী জীবন এবং জীবিকার কথা, এর চেয়ে খারাপ কাজের প্রস্তাবও রূপার কাছে ছিল কিন্তু সে করেনি। রূপা সেতুকে বলে, চলেন পুলিশে দেন আমাকে।
সেতু চলে যায় একাকী। তখন পুলিশ থেকে ফোন করে জানানো হয়, ছিনতাইকারীরা ধরা পড়েছে সেতু সনাক্ত করে দিলে অফিসার তাদেরকে কোর্টে চালান করবে। সেতু দেখে আটককৃতরা রূপা, রন্জু। সেতু মিথ্যা বলে, এদেরকে সে কখনো দেখেনি। পুলিশ অফিসার বুঝতে পারে সেতু মিথ্যা বলছে কিন্তু তার এই ক্ষমাপরায়নতা তাকে অবাক করে। ছাড়া পেয়ে যায় রূপা, রন্জু। একদিন তার কাছে এসে হাজির হয় রূপা, সঙ্গে সেই টাকার ব্যাগ, রন্জু ওই পেশাতেই আছে। সে ধরা পড়ে এখন জেলে। অনাথদের নিয়ে সেতুর বড় কাজটায় রূপা তার পাশে থাকতে চায়।