দুপুর ২টা ৩০ মি, ঈদের দিন, চ্যানেল আই
নদীজন-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: শাহনেওয়াজ কাকলী
অভিনয়: তমা মির্জা, নিরব, প্রাণ রায়, মামুনুর রশীদ
চ্যানেল আইতে ঈদুল ফিতরের দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে চলচ্চিত্র নদীজন’র। কাহিনী: শেখ জহিরুল হক। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন শাহনেওয়াজ কাকলী। অভিনয়ে রয়েছেন তমা মির্জা, প্রাণ রায়, মামুনুর রশীদ, শর্মীমালা, সাগর, নিরব, শফিক মনা, রিফাত চৌধুরী, বিপ্লব প্রসাদ, মামুন চৌধুরী রিপন, শেখ মহিউদ্দিন প্রমুখ।
ছায়া (তমা মির্জা) এর স্বামী নিখোঁজ হবার পর ছোটভাই ছোটন (সাগর) আর সে নদীর পারের একটি গ্রামের নিজ ভিটাতে জীবন অতিবাহিত করতে থাকে। বাবা শাহ্ আলম (বিপ্লব প্রসাদ) মূলৎ বাউল গায়াক হলেও এক সময় সংসারের প্রয়োজনে নৌকার ব্যবসা চালু করে। তবে তা তিনি নিজে বেশিদিন ধরে রাখেননি। সব ভার কন্যা ছায়ার উপর ছেড়ে দিয়ে মাঝে মাঝেই দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যান। গ্রামে তার অতি আপনজন বলতে বাবার বন্ধু ডাক্তার চাচা (রিফাত চৌধুরী)। একদিন ঘটনাক্রমে নদীর কুলে আইনুদ্দিনকে (প্রাণ রায়) অচেতন অবস্থায় অবিষ্কার করে ছায়া ও ছোটন। দুই ভাইবোন মিলে আইনুদ্দিনকে নিয়ে তোলে নিজেদের বাড়িতে। ডাক্তার চাচার পরামর্শ অনুযায়ী সেবা করে সুস্থ করে তোলে তারা দুই ভাইবোন আইনুদ্দিনকে। কিন্তু তার পরিচয় সহজে জানতে পারে না। একদিন হুট করে ছায়ার বাবা চলে আসে বাড়িতে। সে আইনুদ্দিনকে দেখে ছেলেটির পরিচয় জানতে চায় মেয়ের কাছে। ছায়া সব খুলে বলে বাবাকে। বাউল বাবা সব শুনে ছেলেটিকে তাদের বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়ে আবার নিরুদ্দেশ হয়। একদিন কথা বলে আইনুদ্দিন। নিজের পরিচয় দেয় ছায়ার কাছে এবং খুলে বলে তার দুর্দশার কথা ছায়াকে। আইনুদ্দিন, সামসিকে (শর্মীমালা) বিয়ে করেছিল প্রেম করে। তারপর নৌকায় কাজ করা আইনুদ্দিনের সংসার সুখেই চলছিল। এরপর আইনুদ্দিনের জীবন ও সংসারে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।