সকাল ১০টা ৩০ মি, ঈদের ৫ম দিন, চ্যানেল আই
ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার
অমি ও আইসক্রিম’অলা
রচনা: ফরিদুর রেজা সাগর
পরিচালনা: সুমন ধর
অভিনয়: তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, পাপিয়া আলী সরকার
ঈদুল ফিতরে চ্যানেল আইতে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে শিশু সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের গল্পে প্রথম নির্মিত চলচ্চিত্র ‘অমি ও আইসক্রিম’অলা। চলচ্চিত্রটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সুমন ধর। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নয়ন, পাপিয়া আলী সরকার, মিছিল, খান আসিফুর রহমান আগুন প্রমুখ। চ্যানেল আইতে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে ঈদের পঞ্চম দিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে।
নটরডেম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র অমি। অতি বুদ্ধিমান, দেশপ্রেমিক এবং ভ্রমণপ্রিয় একজন যুবক। গল্প শুরু এখান থেকে। সকালের সূর্য উঠার সাথে লাল রঙের একটা গাড়ি হাইওয়ে রাস্তা ধরে ছুটছে..., গাড়িটা ময়মনসিংহ রোডে ঢোকার পর হঠাৎ নষ্ট হওয়ায় অমি গাড়িটা ড্রাইভারের কাছে ছেড়ে দিয়ে রাস্তার পাশে বনের মধ্যে একটি লম্বা রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে। অমি বনের ভেতর কিছু দূর যাওয়াতে দেখা যায় একটি পরিত্যক্ত জমিদারবাড়ি! এই পরিত্যক্ত বাড়িটি বর্তমানে অমির মামা কালাম সাহেবের। অমির গাড়িটা ঠিক হয়ে না আসা পর্যন্ত সে এই বাড়িতে অবস্থান করে। এই বাড়িতে অমির মামাসহ কেয়ারটেকার আবদুল বসবাস করেন...। অমি পুরনো বাড়ির যেদিকে তাকায় জঙ্গল আর জঙ্গল এবং উঠানের কোনার দিকে বিশাল একটি নিম গাছ দেখতে পায়। এই পুরনো বাড়িটির মূল মালিক মুক্তিযুদ্ধের শহীদ জমিদার রায় বল্লভ রায়ের। অমি তার মামার সাথ অনেক দিন পর দেখা হওয়ার কারণে মামা ভাগ্নের অনেক ভালোবাসা নিবেদন। কেয়ার টেকার আবদুল, অমিতকে সেবা যন্ত করে দুপুরের খাবারের আয়োজন করতে বাজারে যায়...। মামা তার কাজের ব্যাপারে একটু শহরের দিকে যায়। পুরো বাড়িতে অমি এখন একা। সে বাড়িটা ঘুরতে ঘুরতে বিশাল নিম গাছটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, সে নিমগাছটার মধ্যে নাম না জানা বিভিন্ন পাখি দেখতে পায়...। অমি একটি পাখি দেখে অবাক হয়ে পাখিটার নাম দেয় রঙ্গিলা। অমি ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে মামার ঘরে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিতে থাকে। হঠাৎ সে জানালা দিয়ে তাকাতে দেখে নীল রঙের হাফপ্যান্ট আর নীল রঙের হাফশার্ট পরা একটা লোক দুচাকা’অলা একটা কাঠের বাক্স ঠেলে অমির জানালার সামনে দিয়ে আসছে। লোকটা হেঁরে গলায় বলছে আইসক্রিম... আইসক্রিম। অমি এই লোকটাকে দেখে চিন্তা করতে থাকে এই বিশাল জঙ্গলের মধ্যে কার কাছে বিক্রি করবে এই আইসক্রিম? প্রথমেই প্রশ্নটা অমির মাথায় এলেও পরে মনে হলো লোকটা কোথায়, কার কাছে আইসক্রিম বিক্রি করবে তা জানার দরকার কী? বরং লোকটাকে ডেকে আইসক্রিম কেনা যাক। জানালা দিয়ে অমি আইসক্রিম’অলাকে ডাক দেয়। আইসক্রিম’অলা জানালার দিকে আসে। অমি দরজা খুলে বাইরে এসে দাড়াতেই আইসক্রিম’অলা বলে, কী আইসক্রিম খাবেন? তখন অমির সাথে কথায় কথায় আইসক্রিম’অলার অনেক কথাত হয়, গল্প হতে থাকে এই বাড়ি নিয়ে। তাদের গল্পের মধ্যে যখনি কোনো মানুষের সমাগম হয় তখনি আইসক্রিম’অলা হঠাৎ করে হারিয়ে যায়, আবার অমি যখন একা থাকে তখন আইসক্রিম’অলা তার সামনে আসে! এ আইসক্রিম’অলা জমিদার রায় ব্লভ রায়ের অশরীরী আত্মা। সে যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিচারে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার জন্যÑ অমির কাছে তার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করতে আসে.. এবং অমিতে তার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করে, অমি তার শেষ ইচ্ছা রাখতে পারবে বলে তাকে কথা দেয়। আইসক্রিম’অলার বিশ্বাস যে লোকটি তাকে মেরেছে তার বাড়ি ধ্বংস করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার অমি স্বাধীন দেশে করতে পারবে।