রাত ৯টা ৩৫ মি, ঈদের ৬ষ্ঠ দিন, চ্যানেল আই
নাটক একটি নিখুঁত অপরাধ
রচনা: শিবব্রত বর্মন
পরিচালনা: আকরাম খান
অভিনয়: পাভেল আজাদ, রিচি সোলায়মান, কুমকুম হাসান, তানিয়া বৃষ্টি
মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শায়লা। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখী জীবনযাপন করে। তবে শায়লার একটি মানসিক রোগ আছেÑ ক্লেপটোমেনিয়া। দোকানপাট থেকে টুপ করে জিনিস উঠিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগে পুরে ফেলা তার স্বভাবক। স্বামী সেটা জানে না। কেননা শায়লা কোনোদিন কারো কাছে ধরা পড়েনি। কিন্তু একদিন বড় সমস্যায় পড়ে শায়লা। একটা সুপারশপে সে নানান জিনিস দেখছিল। দেখতে দেখতে অত্যন্ত দামি একটি নেকলেস সে তার ভ্যানিটি ব্যাগে পুরে ফেলে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় গেটে তাদের আটকানো হয়। নিরাপত্তা কর্মী ও বিক্রয়কর্মীরা ব্যাগ সার্চ করে দাম না দেওয়া নেকলেসটি বের কওে আনে। নিরাপত্তাকর্মী তাকে আটক করে উপরতলায় ম্যানেজারের রুমে নিয়ে যায়।
ম্যানেজার তানভীর ইসলাম অত্যন্ত ধূর্ত ধরনের লোক। তিনি একটি স্বীকারোক্তিমূলক কাগজে শায়লার সই নিয়ে নেন, যাতে শায়লা এ কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং প্রতিশ্র“তি দেয় যে, এ ধরনের কাজ সে ভবিষ্যতে আর করবে না। কথা ছিল, এই কাগজে সই করলে ছেড়ে দেওয়া হবে শায়লাকে। কিন্তু শায়লা সই করামাত্র ভোল পাল্টে ফেলেন ম্যানেজার তানভীর। তিনি এখন বলতে থাকেন, শায়লাকে পুলিশে দেওয়া হবে, সাংবাদিকদের ডাকা হবে ইত্যাদি। শায়লা অনুনয়-বিনয় করে, বলে তার সামাজিক মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত হবে, তার স্বামীর সামনে সে হেয়ে হয়ে যাবে। শায়লা এমনকি তানভীরকে অনেক টাকা ঘুষ দেওয়ারও প্রস্তাব করে। কিন্তু তানভীরের কথাবার্তায় মনে হতে থাকে, সে অন্যকিছু চায়। কী সেটা? তানভীর একসময় খোলাখুলিই প্রস্তাব করে। শায়লাকে আগামীকে শনিবার সন্ধ্যায় ছয়টায় যেতে হবে তানভীরের বাসায়। ওই সময় তার স্ত্রী বাসায় থাকবে না। শায়লার আর কিছুই করার নেই। নিজের সামাজিক মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে সে রাজি হয়। নির্দিষ্ট দিনে শায়লা অত্যন্ত দ্বিধাজড়ানোর পায়ে গিয়ে হাজির হয় তানভিরের ফ্ল্যাটে। কিন্তু তানভীরের মাথায় আসলে ভিন্ন এক চাতুরি। শায়লাকে ব্যবহার করে সে আসলে তার বড়লোক স্ত্রীর জমানো ধনসম্পদ চুরি করতে চায়। তানভীর অনেক বড় বাটপার। কিন্তু অতিচালাকি করতে গিয়ে সে নিজের ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। এভাবে গল্পের এগিয়ে চলা।