৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা
মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘নীলাখ্যান’
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা’র পরীক্ষণ মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়-এর মঞ্চনাটক ‘নীলাখ্যান’। দ্রোহ ও প্রেমের কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ‘সাপুড়ে’ গল্প আশ্রয়ে নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনন জামান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক এ নাটকের নির্দেশনায় থাকছেন। ‘‘নীলাখ্যান’’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় এর ৩৬তম প্রযোজনা। এতে অভিনয় করছেন পলি বিশ্বাস, মনামী ইসলাম কনক, লিঠু মন্ডল, জেরিন তাসনীম এশা, কোনাল আলী চৈতী সাথী, তনু ঘোষ, মামুনুর রশীদ, আমিনুল আশরাফ, আসাদুজ্জামান রাফিন, মোহাম্মদ আহাদ, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, ইয়াছির আরাফাত, তৌহিদুর রহমান শিশির, ইকবাল চৌধুরী, জাহিদুল কামাল চৌধুরী দিপু, মোঃ শাহনেওয়াজ এবং মীর জাহিদ হাসান।
বেদিয়ার সর্দার জহর সাধনা করে বিষ জয় করে। তবে দেবী মনসা তার জন্য কাম নিষিদ্ধ করে দেয়। তার ভাষে আভাসে প্রত্যাখ্যাত ভালবাসার মানুষ বিন্তী রানী আত্মহত্যা করে আড়ালি বিলে রাশি রাশি শাদা শাপলার বনে। বেদিয়া বহরে বেড়ে উঠা সাপে কাটা মান্দাস ভাসা বালিকা চন্দনের চুলের আড়ে বিন্তীর সুরভী পায় জহর। নারী নিষিদ্ধ বলে এ বালিকা বেড়ে উঠছিল বালকের বেশে। যাকে সন্তান করেছিল জ্ঞান- ঋতুমতি হয়ে উঠার পর তার প্রতি প্রবল রতি অনুভব করে জহর। বেদিয়া দলে তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিচিত্রমুখী সংকট। চন্দনের যুবা সাজে তাকে প্রেম নিবেদন করে মৌটুসী আর চন্দন ঠোটে মালতী ফুলের লাল ডলে ঝুমরোর সামনে দাড়ায়। বেদিয়াদের উৎসবে চন্দনের নারীত্ব একদিন উন্মোচিত হয়। যাকে পিতা মানে তাকে পতি মেনে নিতে পারে না চন্দন। এভাবেই নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মানব হৃদয়ের গভীর এক আখ্যান এগিয়ে যায়।
‘নীলাখ্যান’ নাটকের নেপথ্য শিল্পীরা হলেন মঞ্চ, সুর সংযোজন ও আবহসঙ্গীত পরিকল্পনায় ইউসুফ হাসান অর্ক, আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, পোষাক পরিকল্পনায় ড. সোমা মুমতাজ, কোরিওগ্রাফী জেরিন তাসনিম এশা, প্রপস পরিকল্পনা ও নির্মাণ হাসনাত রিপন, রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পোষ্টার ও স্মরণিকা ডিজাইন পংকজ নিনাদ, মঞ্চ ব্যবস্থাপক জাহিদ কামাল চৌধুরী এবং প্রযোজনা অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান।
সাতদিন/এমজেড