দুপুর ২টা ৪৫মি, ঈদের ৩য় দিন, চ্যানেল নাইন
বিশেষ টেলিফিল্ম: এই তো কেবল এলে
রচনা: শাহ্ মো: নাঈমূল করিম
পরিচালনা: সকাল আহমেদ
অভিনয়: তৌকীর আহমেদ, প্রভা, মৌসুমী হামিদ
একটি প্রসাধন কোম্পানীর সাবানের খালি প্যাকেট জমা দিয়ে লটারী জিতেছে গ্রামের ছেলে গেঁদু। পুরস্কার হিসেবে সে কক্সবাজারের একটি হোটেলে সাতদিন থাকার সুযোগ পেয়েছে সে। সেই সুযোগেই তার কক্সবাজার আসা। একই হোটেলে উঠেছে আরমীন। তার বান্ধবী কণাসহ। তারাও কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে। এবং মধুচন্দ্রিমা পালনের উদ্দেশ্যে একই হোটেলে কয়েক দিনের জন্য বাসিন্দা হয়েছে নবদম্পতি আহনাফ এবং ইতুও। একই হোটেলে ওঠার সুবাদে তাদের পরষ্পরের সাথে পরিচয় হয়। কিন্তু গেঁদু এবং আরমীনের মধ্যে সখ্যতাটা যেন কিছুটা বেশিই গড়ে উঠেছে। কারণ, সমাজের উঁচু শ্রেণীর বাসিন্দা আরমীনের কাছে এই গেঁদু যেন খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ক্যারেক্টার। তার ক্যারেক্টারটাকে সে ধরতে চেষ্টা করছে। এবং যতই গেঁদুর ভিতরে ঢুকছে, ততই অবাক হচ্ছে এই ভেবে যে, একটা মানুষ এত সহজ-সরল কী করে হয়। গেঁদুর সমস্ত কল্পনা তার হবু স্ত্রীকে ঘিরে। তবে এখনো সে জানে না, তার হবু স্ত্রীটা আসলে কে হতে যাচ্ছে। গ্রামে তার বিয়ের কথা চলছে। আসি আহনাফ এবং ইতুর কাছে। নতুন বিয়ে করে তারা যেন ভালোবাসার সাগরে ভাসছে। হ্যাঁ, এই কক্সবাবাজারে কে যেন তাদেরকে গোপনে গোপনে গোপনে ফলো করছে।
হঠাৎ, সেই ছেলেটি যখন তাদের সামনে এসে দাঁড়াল। তখন ইতু যেন ভিতরে ভিতরে ভয়ে কুঁকড়ে গেল। আসি গেঁদু এবং আরমীনদের কাছে। উঁচু শ্রেণীর ছেলে-মেয়েরা সাধারণত একটু পাগলাটে ধরনের হয়। জীবনটাকে অনেক সময়ই তারা শুধুমাত্র একটা মজার খেলা হিসেবে ধরে নেয়। আরমীনও এর ব্যতিক্রম নয়। বয়ফ্রেন্ড সায়মনের সাথে ফোনে এক মারাত্মক ঝগড়া করে সে তার সাথে ব্রেকআপ করে ফেলল। এবং তাকে আরও কষ্ট দেওয়ার জন্য সে সিদ্ধান্ত নিল, সে এখনই বিয়ে করবে। এবং সেই বিয়ের প্রস্তাবটা সে দিয়ে বসল গেঁদুকে! গেঁদুর তো মাথায় হাত। এত বড়লোকের মেয়ে কিনা তাকে বিয়ে করতে চায়?
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে চ্যানেল নাইনে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ২টা ৪৫মিনিটে প্রচারিত হবে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘এই তো কেবল এলে’। রচনায় শাহ্ মো: নাঈমূল করিম ও পরিচালনায় সকাল আহমেদ এবং অভিনয়ে তৌকীর আহমেদ, সাইদ বাবু , ড: রিয়াদ, সাদিয়া জাহান প্রভা, মৌসুমী হামিদ, বর্ষা, আফসার প্রমূখ।