রাত ১১টা ৫৫মি, ঈদের ৪র্থ দিন, বাংলাভিশন

নাটক: লাইজু বনাম লাইজু

রচনা: মাসুম শাহরীয়ার
পরিচালনা: ফাহ্মিদা ইরফান
অভিনয়ে: নাদিয়া, নাঈম, উর্মিলা, প্রনীল, অশোক ব্যাপারী


মাসুম শাহরীয়ার-এর রচনা ও ফাহ্মিদা ইরফান-এর পরিচালনায় নাটক ‘লাইজু বনাম লাইজু’ বাংলাভিশনে প্রচার হবে ঈদের ৪র্থ দিন, ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৫মিনিটে। নাটকে অভিনয় করেছেন নাদিয়া, নাঈম, উর্মিলা, প্রনীল, অশোক ব্যাপারী প্রমুখ।

অতনু এবং লাইজুর এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে। ওরা একদিন একটা ফটোগ্রাফী এক্সিবিশনে ঘুরে ঘুরে ছবি দেখে। বেশ একটা বড়সড় ফ্রেমের সামনে এসে দাড়ায়। ‘একটা জারুল গাছের ছায়ায় এক তরুনী পেছন ফিরে বসে আছে। দুই পাশে ঘাস বন। তার মুখ দেখা যায় না। দুরে নদীটা কোথাও বাক নিয়েছে। নদীর জলে ঠিকরে পড়ছে রুপালি আলো।’ অতুন মুগ্ধ হয়ে ছবিটা দেখে। এক্সিবিশন থেকে ছবিটা কিনে নিয়ে যায়। লাইজু রিয়েক্ট করে। একটা মেয়ে বসে আছে পেছন ফিরে। এতো টাকা দিয়ে এই ছবি কেনার কোন মানে হয় না। অতনু বলে, ছবির ওই মেয়েটার চেহারা দেখতে ইচ্ছা করছে। মেয়েটার নাম কি বলতো? লাইজুর সঙ্গে ছবিটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। অতনুু ওর বেডরুমের দেয়ালে ছবিটা ঝুলিয়ে রাখে। সেদিন রাতে অতনু সেই ছবির দৃশ্যটা স্বপ্ন দেখে। একই ফ্রেম কিন্তু দৃশ্যটা জীবন্ত। ছবির তরুনী এক মুহুর্তের জন্যে পেছন ফিরে তাকায়। ভালোমতো চেহারাটা বোঝা যায় না। অতনুর ঘুম ভাঙে। ঘুম ভেঙে অবাক হয়ে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ একদিন অতনু ওর ঘরে ঢুকেই শুনতে পায় অচেনা সব পাখির কলকাকলি। চমকে ওঠে। অতনুর খুব ইচ্ছা করে ছবির তরুনীকে ডেকে জিজ্ঞেস করে, তোমার নাম কি? ছবিটাকে নিয়ে আবারো কল্পনা করতে শুরু করে অতনু। একটা ঘোর পেয়ে বসে ওকে। আশ্চর্য্য এই মেয়েটার নামও লাইজু। অতনু মেয়েটার পাশে গিয়ে বসে। লাইজুর সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করে। লাইজুর ধারণা হয় অতনু উল্টাপাল্টা কল্পনা করছে। ওকে মানসিক ডাক্তার দেখাতে হবে। ওরা ঠিক করে ফটোগ্রাফারের কাছে গিয়ে মেয়েটার সম্পর্কে জানতে চাইবে। সেই ফটোগ্রাফারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। জানতে চায় ছবিটা কোথায় তুলেছে। ছবির মেয়েটা কে? ফটোগ্রাফার ঠিকানা বলতে পারলেও মেয়েটাকে চেনে না। ওরা সেই ঠিকানায় গিয়ে মেয়েটার খোঁজ করে। পায় না। কিন্তু কল্পনায় অতনুর সঙ্গে লাইজুর দেখা হয়। একদিন অতনুকে আর কোথাও পাওয়া যায় না। সন্দেহ গিয়ে পড়ে লাইজুর উপর। লাইজুকে জেরা করে পুলিশ। লাইজু বলে সেদিন অতনুকে সে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়েছে। লাইজু কিছু ভেবে পায় না। সাইকয়াট্রিস্ট ভদ্রলোক সেই ছবিটা দেখতে চায়। লাইজু নিয়ে আসে অতনুদের বাড়িতে। ওর বেডরুমের দেয়ালে সেই ছবিটা ঝুলানো। দেয়ালে ঝুলানো ছবিটার দিকে তাকিয়ে লাইজু চমকে ওঠে। আমতা আমতা করে। ... আমি বুঝতে পারছি না এটা কি করে সম্ভব। ছবিটাতে একটা মেয়ে পেছন ফিরে বসে ছিলো কিন্তু এখন মেয়েটার পাশে একটা ছেলে বসে আছে।

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

টেলিভিশন

 >  Last ›