রাত ৯টা, ঈদের ৩য় দিন, এসএ টিভি
একক নাটক ‘কোপা শামসু’
পরিচালনা: তানিম রহমান অংশু
অভিনয় : জাহিদ হাসান, মৌসুমি হামিদ, পিয়া, স্বর্না, মিথিলা
বদিউল যিনি পৃথিবরি কোন এক যায়গায় বর্ডার পাহারা দেন। এটি পৃথিবীর কোন দিকের সীমানা সেটা আমরা দেখতে পাইনা। এই সীমানার অঞ্চল দিয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষজন যাওয়া আসা করে। কখনো আফ্রিকান, কখনো ইউরোপিয়ান, আবার কখনো চায়নার লোকজন পারাপার হয়। বদিউল এই বর্ডারের একমাত্র গার্ড। সবাইকে বর্ডার পার হওয়ার সময় একটা সিম্বোলিক টিকিট দেখাতে হয়।
একদিন রাতের বেলা টেলিভিশনে তার এক বন্ধুর স্টিল ছবি দেখে খুব অবাক হয়, ছবিটি দেখে সাথে সাথে ঐ বন্ধুর মোবাইলে কল করে, ওপাশ থেকে কান্নার বিলাপ শুনতে পায়। হঠাৎ সে দেখতে পায় তার সেই বন্ধুটিকে কোপ শামসু নামে কে বা কারা যেন মেরে ফেলেছে এবং মারার পরে তারা দেয়ালে বড় করে শামসু লিখে রাখে। টিভিতে নিউজ দেখে একটু বিচলিতই হয়ে পরে কোপা, আরো বিচলিত হয়ে পরে যখন সে কয়দিন পরে আবারো নিউজে দেখে তার আরো দুইজন বন্ধুকে কোপা শামসু নামের কেউ একজন মেরে ফেলেছে। একদিন সকালে বদিউলের স্মার্ট ফোনে একটা কল আসে সেখান থেকে বলে কোপ শামসু তার বর্ডার দিয়েই যাবে এবং তাকেও তারাই খুন করবে। কোপা এখন সব সময়ই আতংকে থাকে রেডিওতে কোপা আমেরিকার ফুটবলের নিউজ শুনলেও সাথে সাথে তা বন্ধ করে দেয়। কারো মুখ দিয়ে কোপা নাম শুনলে তাকে বর্ডারই পার হতে দেয়না। একদিন সে দেখতে পায় চারজন সুন্দরি মেয়ে তার বর্ডারের কাছে আসে এবং পার হতে চায় কিন্তু তাদের কাছে কোন টিকিট নেই, বদিউল কিছুতেই তাদের পার হতে দিবেনা। মেয়েগুলো বদিউলের সাথে বেশ কিছু সময় কাটায় সেখানে মেয়েদের সাথে নানা ধরনের মজার ঘটনা ঘটে এরি এক পর্যায় বদিউল বুঝতে পারে মেয়েগুলো তাকে মারতে এসেছে। কিন্তু বদিউলের প্রশ্ন হচ্ছে তাকেতো মারার কথা কোপা শামসুর তবে এরা কারা? মেয়েগুলো তখন একজন একজন করে তাদের নাম বলে একজনের নাম কোনাল, একজনের নাম পারভিন, একজনের নাম শাম্মি, এবং চুতর্থ জনের নাম সুমি। সবার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তাদের কোপা শামসু গ্যাং গঠিত। বদিউলকে মারার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বদিউলের কাছে তিনজন বন্ধু ছিল যারা ইতোপূর্বে মারা গেছে তারা ছিল নারী পাচারকারী। আর এই মেয়ে চারটি ছিল গ্রামের সাধারন মেয়ে তাদেরকে ঐ তিনজন এক এলাকা থেকে অন্য আরেক অঞ্চলে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয় এবং বদিউল বন্ধুত্তের খাতিরে তাদেরকে বিনা টিকিটে পার হতে দেয় যদিও বদিউল জানত না তার বন্ধুরা তখন চারটি মেয়েকে পাচার করে দিতে যাচ্ছে। কিন্তু কি করার অন্যায়কারী সে যেই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হয়। এবং আমাদের সমাজে এমন অহরহ নারী রয়েছে যারা বর্ডার দিয়ে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এই কোপা শামসুরা হয়তো তাদেরি প্রতীকী প্রতিবাদী নারী।