দুপুর ১২টা ৫ মি, ঈদের দিন, চ্যানেল আই

টেলিছবি ‘বঙ্গত’

রচনা ও পরিচালনা: রাজিব হাসান
অভিনয়: মৌসুমী হামিদ, সাজ্জা, প্রণব, সোহেল খান

গল্পের সময়কাল হাজার হাজার বছর আগের এই বাংলার কোনো এক স্থানে শিকার যুগের শেষ প্রান্তে কৃষি যুগের সূচনা। মানুষ গোত্রে গোত্রে বাস করে তেমনি এক শক্তিশালী বঙ্গত গোত্রের রাজা ঘটতক্ষীর। ঘটতক্ষীরের পরাক্রমকে সকল গোত্র সমীহ করে চলে। ঘটতক্ষীরের নিজের গোত্রের উদীয়মান শক্তিশালী যুবক অর্নুফের সাথে শক্তি ও ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব শুরু করে। ঘটতক্ষীর অর্নুফকে যুদ্ধের আহ্বান করে। অর্নুফ গোত্রের রাজাকে বধ করে দেয়। গোত্রের পরম্পরা হলো রাজার ছেলে রাজা হবে। ঘটতক্ষীরের এক কন্যা সন্তান চন্দ্রমায়া যিনি এই গোত্রের সিংহাসনে বসবেন। কিন্তু অবিবাহিত কেউ রাজা বা রাণী হতে পারে না। তাই চন্দ্রমায়ার স্বয়ংবর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যে যুবক শক্তি ও বৃদ্ধি প্রদর্শন করে বিজয়ী হবেন সেই চন্দ্রমায়ার গলায় মালা পরাবে। কিন্তু অর্নুফের বিরুদ্ধ কোনো যুবক দাঁড়ায় না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী অর্নুফ। কিন্তু নিজের বাবার বধকারীকে চন্দ্রধমায়া মেনে নিতে পারে না। চন্দধমায়া ক্ষোভ ঝাড়ে, এই গোত্রে একজন পুরুষ নাই? তাই চন্দধমায়া নিজেই অর্নুফের সাথে দ্বন্দ্বে আসেন। চন্দধমায়া অর্নুফের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু করবে সেই মুহূর্তে ভিন গোত্রের যুবক হাজির। বিমল্য এই স্বয়ংবরে অংশ নিতে চায়। কিন্তু নিজ গোত্র ছাড়া অন্য গোত্রের কেউ স্বয়ংবরে অংশ নিতে ও বিবাহ করতে পারবে না। বিমল্য তখন নিজের পরিচয় দেয় আমি এই গোত্রের সন্তান। চন্দধমায়াকে বলে আমার বাবা এই গোত্রের রাজা চাতকশীল যাকে বধ করে তোমার বাবা ঘটতক্ষীর সিংহাসনে বসেন। আর এই গোত্রের সব নপুংসকের দল এই অন্যায় মেনে নেয়। কিন্তুত মেনে নেয় না আমার মা। আমার মা আমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আমার মাত্রি কোলে বড় হয়। আর এসেছি আমার অধিকার ফিরেত পেতে। তাই এই স্বয়ংবরে তোমাকে জয় করে এই গোত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়। বিমল্য ও অর্নফের যুদ্ধ শুরু হবে। এমন সময় চন্দ্রমায়া থামিয়ে দিয়ে বলে বঙ্গত গোত্রের নারী ও পুরুষকে নিজের শক্তি সামর্থ্য প্রদর্শন করে এক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, তবেই সে প্রাপ্তবয়স্কের মর্যাদা পায়। তারপরই বিবাহ করা সম্ভব। তুমি সেই পরীক্ষা দাওনি তাই এই স্বয়ংবরে অংশ নিতে পারো না। তবে তাই হোক আগে প্রাপ্তবয়স্কের পরীক্ষা তারপর স্বয়ংবর। বিমল্য কঠিন থেকে কঠিন সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বয়ংবরে চন্দধমায়াকে জয় করে।


বিবাহ উৎসবে আনন্দ উল্লাস চলছে এমন সময় বিমল্য গোত্রের সবাইকে নতুন এক খাবার উপহার দেয়। বিমল্য আমার মা যখন গোত্রহীনভাবে আমাকে বড় করে মা খুব বেশি শিকার করতে পারেনি। আমাদের গুহার সামনে ছিল পলিভূমি, সেই ভূমিতে জন্মেছিল এই ঘাস। এই ঘাসের দানা খেয়ে আজি আজ যুবক। আমার শক্তি পরামশ্য এই ঘাসের দানাতে। সকলে নতুন খাবার খেয়ে উৎফুল্য এই ঘাসের দানা আজ আমাদের ধান।

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

টেলিভিশন

 >  Last ›